মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ন ( কোচবিহার) ও নাজির দেও খগেন্দ্রনারায়নের বিরোধ
কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ন কর্তৃক লর্ড কর্ণওয়ালিস এর উদ্দেশ্যে লেখা অভিযোগ পত্র সন 1788/89. বাংলা ১১৯৪/৯৫,রাজশক ২৭৭/৭৮,তখনও লেখায় ফারসির যথেষ্ট প্রভাব।অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলা ভাষা।বড্ড টালমাটাল সে সময়? পলাশীর সংঘর্ষ, বক্সারের যুদ্ধের অবব্যহিত কাল। মোগল শক্তি অদৃশ্য।ইংরেজের রাজ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ সম্পূর্ণ। কিন্তু ইংরেজ রাজশক্তির সম্পূর্ন প্রভাব বা বজ্রমুষ্টি তখনও বিস্তার লাভ করেনি। একটা সামগ্রিক অরাজকতার পরিস্থিতি।উত্তর পূর্বের রাজারা কার্যত স্বাধীন। কোচবিহার ১৭৭২ এর চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ হলেও, কোচবিহারে তখনও ব্রিটিশ রাজ প্রভুত্ব চাপিয়ে দেয়নি। যা হয়েছিল ১৮১৫ সালের পর। ততদিন কোচবিহার রাজ সরকার প্রায় স্বাধীন ই ছিল বলা যায়? সমস্যাটা ছিল মূলত রাজস্বের ত্রিভাগা তত্ব সম্পর্কিত স্বার্থে র দন্দ্ব,এবং বোদা, পাটগ্রাম,পূর্ব্বভাগ চাকলার রাজস্বের অধিকার, এসব নিয়ে তৈরী হওয়া আর্থ রাজনৈতিক ক্ষমতার দন্দ্ব বা প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। কখনও পুরুষানুক্রমিক উত্তরাধিকারের দাবী কখনো তার বিচ্যুতি? কোন রাজা, কোন কোন ইংরাজ কমিশনার মেনেছে নাজিরদেও, দেওয়ান দেও পুরুষানুক্রমিক পদ? আবার কোন রাজা,কোন ইংর